সম্মানিত সুধি,
আসসালামু আলাইকুম,
> আপনি কি কুরআন পড়তেই পারে না?
> আপনি কি কুরআন পড়তে পারতেন? কিন্ত এখন আগের মতো পড়তে পারেন না?
> আপনি কি হরফগুলি সঠিক ভাবে উচ্চারণ করতে জানেন না?
> আপনি কুরআন পড়তে পারেন কিন্ত শুদ্ধ ভাবে তাজবিদ সহকারে পারেন না?
> আপনি কুরআন এর হরফগুলি চিনতে পারেন কিন্ত মেলাতে পারেন না?
তাহলে এই ব্লগটি আপনার জন্য!!!!
###সূচিপত্রঃ
১) হরফ
2) মাখরাজ
৩) আল্লাহ শব্দ পড়ার নিয়ম৷
৪) ক্বলক্বলা
৫) ইসতেলা
৬) নূনে সাকিন এবং তানবীন
৭) মিমে সাকিন
৬) ওয়াজিব গুন্নাহ
৭) মাদ
৮) ওয়াকফ
৯) র হরফ পড়ার নিয়ম
<> হরফঃ
আরবি হরফ বা বর্ন মোট ২৯ টি৷
ب - বা''
ت - তা''
ث - চ্যা'
ج -জ্বি'ম
ح - হ্যা'
خ - খ'
د - দাল
ذ - জ্বাল
ر - র''
ز- জ্বা
س - চি'ন
ش - সীন
ص - স্ব'দ
ض - দ্ব'দ
ط - ত্ব
ظ - জ্ব
ع - আ'ইন
غ - গ্ব'ইন
ف - ফা
ق - ক্বফ
ك - কাফ
ل - লাম
م - মীম
ن - নূন
و - ওয়াও
ه - হা
ء - হামজাহ
ی - ইয়া
ت - তা''
ث - চ্যা'
ج -জ্বি'ম
ح - হ্যা'
خ - খ'
د - দাল
ذ - জ্বাল
ر - র''
ز- জ্বা
س - চি'ন
ش - সীন
ص - স্ব'দ
ض - দ্ব'দ
ط - ত্ব
ظ - জ্ব
ع - আ'ইন
غ - গ্ব'ইন
হরফগুলির বাংলা ও ইংরেজী উচ্চারন |
ق - ক্বফ
ك - কাফ
ل - লাম
م - মীম
ن - নূন
و - ওয়াও
ه - হা
ء - হামজাহ
ی - ইয়া
<> মাখরাজঃ
মাখরাজ অর্থ বের হওয়া(Exit).
কোরআন শরিফ সহিহ শুদ্ধ ভাবে পড়া শিখতে হলে কোরআন এর হরফ বা বর্ণমালাগুলি সঠিক যায়গা থেকে উচ্চারণ করা খুবই জরুরি।
এই অধ্যায়ে আমরা শিখব আরবি বর্নমালা গুলি কোনটি মুখের কোন যায়গা থেকে উচ্চারিত হয়।
কোরআন শরিফ সহিহ শুদ্ধ ভাবে পড়া শিখতে হলে কোরআন এর হরফ বা বর্ণমালাগুলি সঠিক যায়গা থেকে উচ্চারণ করা খুবই জরুরি।
এই অধ্যায়ে আমরা শিখব আরবি বর্নমালা গুলি কোনটি মুখের কোন যায়গা থেকে উচ্চারিত হয়।
আরবি ২৯টি হরফ বা বর্ন মুখের ১৭ টি স্থান/যায়গা থেকে উচ্চারিত হয়।
1. কণ্ঠনালির শুরু হইতে - ء ه >> হামজাহ, হা'
2. কণ্ঠনালির মধ্যখান হইতে - ع ح >> আ'ইন, হা''
3. কণ্ঠনালির শেষ হইতে - ع خ >> গইন, খ'
4. জিহ্বার গোড়া তার বরাবর উপরে তালুর সঙ্গে লাগাইয়ে - ق >> ক্বফ
5. জিহ্বার গোড়া থেকে একটি আগে বাড়াইয়া তার বরাবর উপরে তালুর সঙ্গে লাগাইয়া-
ك >> কাফ
ك >> কাফ
6. জিহ্বার মধ্যখান তার বরাবর উপরে তালুর সঙ্গে লাগাইয়া -
ج ش ی >> জ্বিম, শীন, ইয়া
ج ش ی >> জ্বিম, শীন, ইয়া
7. জিহ্বার গোড়ার কিনারা উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগাইয়া - ض >> দ্ব'দ
8. জিহ্বার আগা, সামনের উপরের দাঁতের মাড়ির সঙ্গে লাগাইয়া - ل >> লাম
9. জিহ্বার আগা তার বরাবর উপরে তালুর সঙ্গে লাগাইয়া- ن >> নূন
10. জিহ্বার আগার পিঠ, তার বরাবর উপরে তালুর সঙ্গে লাগাইয়া- ر >> র'
11. জিহ্বার আগা, সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগাইয়া-
ط د ت >> ত্ব, দ্বাল, তা
ط د ت >> ত্ব, দ্বাল, তা
12. জিহ্বার আগা সামনের নিচের দুই দাঁতের পেটের সঙ্গে লাগাইয়া-
ص س ز >> স্ব'দ, চিন, যাহ
ص س ز >> স্ব'দ, চিন, যাহ
13. জিহ্বার আগা, সামনের দুই আগার সঙ্গে লাগাইয়া -
ظ ذ ث >> জ্ব, জাল, চা'
ظ ذ ث >> জ্ব, জাল, চা'
14. নিচের ঠোঁটের পেট, সামনের উপরের দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগাইয়া- ف >> ফা
15. দুই ঠোঁটের মধ্যখান থেকে উচ্চারিত হয় -
ب و م >> বা, ওয়াও, মীম
ب و م >> বা, ওয়াও, মীম
16. মুখের খালি যায়গা হইতে মাদ্দের হরফ উচ্চারিত হয়-
ا و ی >> আলিফ, ওয়াও, ইয়া
ا و ی >> আলিফ, ওয়াও, ইয়া
17. নাকের বাঁশি হইতে গুন্নাহ উচ্চারিত হয়-
<> আল্লাহ শব্দ পড়ার নিয়মঃ
আল্লাহ ( اللهُ) শব্দ দুই নিয়মে পড়া যায়৷
>> মোটাঃ আল্লাহ শব্দের আগে জবর বা পেশ হইলে আল্লাহ শব্দের লাম মোটা হবে৷
যেমন - اَللهُ
>> বারিক/চিকনঃ আল্লাহ শব্দের আগে জের হইলে আল্লাহ শব্দের লাম চিকন হবে৷
যেমনঃ بِسمِ اللهِ
বিঃদ্রঃ আল্লাহ শব্দের লাম চাড়া আর যত লাম আছে সব লাম চিকন/পাতলা হবে৷
র (ر) হরফ দুই নিয়মে পড়া যায়
১) মোটা করেঃ
###র(ر) হরফ পড়ার নিয়মঃ
র (ر) হরফ দুই নিয়মে পড়া যায়
১) মোটা করেঃ
মোটা করে পড়ার নিয়ম সাত(৭)টি৷
*
২) পাতলা করেঃ
পাতলা করে পড়ার নিয়ম তিনটি
*
<> কলক্বলাঃ
ক্বলক্বলা মানে ড্রফ ব প্রতিধ্বনি করে পড়া৷
ক্বলক্বলার হরফ পাঁচ টি - ق ط ب ج د
#নিয়মঃ ক্বলক্বলার হরফে সাকিন বা তাসদীদ হলে - এর পর ওকাকফ হলে ক্বলক্বলা করে পড়তে হয়৷
যেমনঃ
* قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ
* قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ
* قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ
* قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ
<> ইসতেলাঃ
ইসতেলা মানে মোটা করা৷
ইসতেলার হরফ সাত (৭) টি - ص ض ط ق غ خ
কোর আন শরিফে এই হরফগুলি আসলে হরফ গুলির স্বর মোটা করে, মুখ গোল করে পড়তে হয়৷
যেমনঃ
* صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
* غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
* صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
* غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
<> নূনে সাকিন ও তানবীনঃ
নূন (ن)হরফের উপর সাকিন(^) হইলে তাকে নূনে সাকিন বলে৷
আর দুই জবর (دً), দুই যের(دٍ), দুই পেশকে(دٌ) তানবীন বলে৷
নূনে সাকিন এবং তানবীন চার(৪) নিয়মে পড়া যায়৷
ক) ইজহার
খ) ইক্বলাব
গ) ইদগাম
ঘ) ইখফা
ক)ইজহারঃ
ইজহার অর্থ স্পষ্ট করিয়া পড়া৷
নূনে সাকিন বা তানবীন এর পর ইজহার এর হরফ আসলে উহাকে গুন্নাহ ও ওয়াকফ চাড়া স্পষ্ট করিয়া পড়িতে হয়৷
নূনে সাকিন বা তানবীন এর পর ইজহার এর হরফ আসলে উহাকে গুন্নাহ ও ওয়াকফ চাড়া স্পষ্ট করিয়া পড়িতে হয়৷
ইজহারের হরফ ৬ টি৷
- ء ه ع ح ع خ
* فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
* فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
খ) ইক্বলাবঃ
ইক্বলাব অর্থ বদল করিয়া পড়া৷
ইক্বলাবের হরফ একটি - ب
নূনে সকিন বা তানবীন এর পর ইক্বলাবের হরফ(ب ) আসলে ঐ নূনে সাকিন বা তানবীন কে (م ) দ্বারা বদল করিয়া পড়িতে হয়৷
যেমন: *منٗ بعدؔ * سَمِيع بسر
ঘ) ইদগামঃ
ইদগাম অর্থ মিলাইয়া পড়া৷
ইদগাম দুই প্রকার৷
৷৷ ইদগামে বা'গুন্নাহঃ
ی م و ن
নূনে সাকিন বা তানবীন এর পর এই হরফগুলি আসলে ওই অক্ষরকে নূনের সাথে মিলিয়ে গুন্নাহ করিয়া পড়িতে হয়৷
যেমনঃ فَمَن یعمل٠
৷৷ ইদগামে বেলা'গুন্নাহঃ
ر لـ
ر لـ
নূনে সাকিন বা তানবীন এর পর এই দুই হরফ আসলে গুন্নাহ চাড়া মিলিয়ে পড়তে হয়৷
যেমনঃ من ربؔکَ٠
ঘ)ইখফাঃ
ইখফা মানে গোপন করা৷ ইখফার হরফ ১৫ টি৷
ت ث ج د ذ ز س ش ص ض ط ظ ف ق ك
নূনেসাকিন বা তানবীনের পর ইখফার হরপফ আসিলে গুন্নাহ সহো ইখফা করে পড়তে হয়৷
যেমনঃ ومن ضل٠
<> মিমে সাকিনঃ
মিমের উপর সাকিন (مٗ) হলে মিমে সাকিন বলে৷
মিমে সাকিনের ৩ টি নিয়ম আছে৷
ক) ইখফাঃ
মিমে সাকিন এর পর বা (ب) হরফ আসলে গুন্নাহ সহো স্পষ্ট করিয়া পড়তে হয়৷
যেমনঃ وماهمٗ بِمُمنین
খ)ইদগামঃ
মিমে সাকিন এর পর মীম (م) হরফ আসিলে ইদগাম ও গুন্নাহ করিয়া পড়িতে হয়৷
যেমনঃ قُلُبِهِمٗ مَرَض
গ)ইজহারঃ
মীমে সাকিন এর পর ب م ছাড়া বাকি সব হরফ এ ইজহার হবে৷
যেমনঃ لَمّ یکُن
<> ওয়াজিব গুন্নাহঃ
নূনের উপর তাসদীদ (نّ) গুন্নাহ করা ওয়াজীব৷
মীমের উপর তাসদীদ (مّ) গুন্নাহ করা ওয়াজীব৷
<> মাদঃ
টেনে বা লম্বা করে পড়াকে মাদ বলে৷
মাদের হরফ তিন টি - ا و ی
মাদ মোট ১০(দশ) প্রকার৷
এক আলিফ মদ তিন প্রকারঃ
১. মদ্দে ত্ববায়ী
২. মদ্দে বদল
৩. মদ্দে লীন
তিন আলিফ মাদ দুই প্রকারঃ
৪. মদ্দে আরজী
৫. মদ্দে মুনফাসসিল
চার আলিফ মাদ পাঁচ প্রকারঃ
৬. মদ্দে মুত্তাসিল
৭. মদ্দে লাজিম কালমি মুসাক্কাল
৮. মদ্দে লাজিম কালমি মুখাফফাপ
৯. মদ্দে লাজিম হারফি মুসাক্কাল
১০. মদ্দে লাজিম হারফি মুখাফফাফ
<> ওয়াকফঃ
যারা কুরআন শরিফের অর্থ বুঝেন না তারা কুরআনের যেখানে ওয়াকফের চিহ্ন আছে সেখানে থামবে৷
* মাদ এবং ওয়াকফ এর উপর বিস্তারিত আলোচনা অন্য ব্লগে দেখুন৷
বিঃদ্রঃ
এই বইটিতে তাজবিদ এর গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো খুবই সংক্ষেপে আলোচনা করা হইলো৷ কর্মজীবন এর ব্যস্ত মানুষগুলিকে কুরয়ান মূখি করার জন্য তাজবীদ এর সিলেবাস সংক্ষেপ ও সহযবোধ্য করা হইয়াছে৷ এর বাহিরে বিস্তারিত জানার জন্য বাজারে তাজবিদ শিক্ষার অনেকগুলি বই আছে৷ এই বইয়ের বিষয়ে কোন পরামর্শ থাকলে কমেন্টস এ জানানোর বিনীত অনুরোধ রহিলো৷
মূল লেখকঃ
মাওলানা আব্দুর রউফ
পান্ডুলিপি তৈরিতেঃ
সাহীদুর রহমান
>>>দ্বীনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের এই প্রচেষ্টাকে আল্লাহ কবুল করুক৷ (আমিন)
সহজ তাজবিদ ও কুরআন শিক্ষা
Reviewed by Hellow Dubai !!!
on
20:13
Rating:
Ma sa allah
ReplyDeleteমদের বিষয়গুলি বিস্তারিত লিখে দিলে ভালো হতো। যাঝাকাল্লাহ
ReplyDeleteআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্
ReplyDeleteমদের বিবরণ দিয়ে দিলে ভালো হতো